হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কোরবাণীর ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কোরবাণীর পশুর হাট ৷ ঐতিহ্যবাহী আজমিরীগঞ্জ গরুর হাট ময়দানে এই হাট বসছে প্রতি রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি৷ করোনা পরিস্হিতিতে সামাজিক দুরত্ব, স্বাস্হ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরজমিনে মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ৷
রবিবার(১৯ জুলাই) সরজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন রকমের কোরবাণীর পশু (গরু, মহিষ, ছাগল) বিক্রেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন এক সময়ের ভাটী বাংলার রাজধানী খ্যাত আজমিরীগঞ্জের ঐতিহাসিক গরুর ময়দানে৷ বিভিন্ন দামের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রেতারা৷ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্রেতারাও এসেছেন। ৷
কথা হয়, গরু বিক্রেতা মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের মনুকান্দি চারগ্রামের মোঃ শাহাজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি এই হাটে সর্বোচ্চ দামের একটি ষাঁড় নিয়ে এসেছেন। ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা৷ এই হাটে এই গরুর পাশাপাশি আরেকটি দামী গরু এসেছে। যার দাম হাঁকা হচ্ছে চার লাখ টাকা ৷
করোনা পরিস্হিতির কারণে তুলনামুলক ক্রেতা কম আসায় অনেকটাই আশাহত হাটে আসা বিক্রেতারা ৷

কথা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ক্রেতা আমজাদ হেসেনের সঙ্গে। তিনি আজমিরীগঞ্জে ১৯৯১ ইংরেজী সালে তার বাবার সঙ্গে প্রথম আসেন গরু কিনতে৷ তখন তার বয়স মাত্র ১১ বছর৷ শখ করে বাবার হাত ধরে এসেছিলেন কোরবাণীর গরু কিনতে৷ কেনার জন্য গরু দেখছেন তিনি। বললেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় হাতের নাগলের মধ্যেই রয়েছে দাম৷
খাজনা আদায়ের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতা, বিক্রেতারা৷
সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্হ্য বিধি নিশ্চিত করতে হাট পরিদর্শন করেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন৷ প্তিনি হাটের মাইকে ক্রেতা, বিক্রেতার উদ্দেশ্যে বলেন, ঈদুল আযহা মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় একটি আনন্দ উৎসব। কিন্তু সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্হ্যবিধি না মানার কারণে এই ঈদের খুশি যেনো কারো পরিবারে দুঃখের কারণ না হয়৷ সবাইকে তিনি সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্হ্য বিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য আহ্বান জানান। এর পর তিনি হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন ৷
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন বলেন, ঈদ আনন্দ যেনো কারো পরিবারে বিষাদ না হয়ে আসে এর জন্য সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখছে৷ সেই সঙ্গে ক্রেতা, বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই সতর্ক রয়েছেন৷ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতের লক্ষে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত কাজ করে যাবে ৷
তিনি আরো বলেন, হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা আর্থিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নেবেন৷