সবে মাত্র এসএসসি’র গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্পণ করেছেন, দেশের সবচেয়ে নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের ছাত্র। কেন জানি তিনি আর সবার থেকে আলাদা। চিন্তা, ভাবনায় যেন আকাশ ছুতে চায় সেই বয়স থেকেই। টুকটাক রাজনীতির পাশাপাশি অনেকটা আবেগের বশেই তিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষাটা পেয়েছেন পরিবার থেকেই। অনানুষ্ঠানিকভাবেই মনের ফ্রেমে থাকতো এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিচ্ছবি।
অনেকটা লোক চক্ষুর আড়ালে নিজের শখকে অনেক সময় না মিটিয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতেন পকেটমানি। কোন পরিকল্পনা নেই, নেই কোন ভবিষ্যৎ নেতা হওয়ার সংকল্প। এভাবেই তিনি পড়াশুনা, খেলাধুলার পাশাপাশি ছোট পরিসরে সামাজিক কাজে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে থাকেন। সময় ও জলস্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। দিন, মাস পেরিয়ে বছরের পর বছর।
দেশ ও দেশের বাইরে শিক্ষা অর্জন করেছেন, কম্পিউটার বিজ্ঞানে অনার্স, পরবর্তীতে এমবিএ ও এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেও এলাকার মানুষের জন্য মন কাঁদে বার বার। পথ সবার আলাদা হয়েছে তবে মানব সেবার নেশা কাটেনি । বলছি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কৃতি সন্তান শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মোঃ আব্দুল হাই এর বড়ছেলে উদীয়মান নেতা প্রকৌশলী আরিফুল হাই রাজীবের কথা।
মসজিদ ও মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান, বেকার ও অসহায়দের মাঝে রিকশা বিতরণ, অসহায় পিতার বিবাহযোগ্য মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া। ঈদে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে উপহার পৌঁছে দেয়া, শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণসহ নানান কাজে তিনি এগিয়ে আসেন সর্বাগ্রে- মানুষের জন্য, মানুষের টানে। পড়াশুনা বা চাকুরীর দূরত্ব সামাজিক কাজের মধ্যে এখন অবধি চির ধরাতে পারেনি।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস যখন চোখ রাঙানী দিচ্ছিল পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে, তখনই চুনারুঘাটে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেন এলাকায় তখন পর্যন্ত চুনারুঘাটে এ বিষয়ক কোন প্রচারণা শুরুই হয়নি বলা চলে। মাধবপুর – চুনারুঘাট এলাকার সাংবাদিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি পিপিই প্রদান করেছেন।
৯ এপ্রিল থেকে শুরু করে আজ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২ পর্বে চুনারুঘাট ও মাধবপুরের ২ হাজারের বেশী পরিবারের মাঝে ২০ টন চাউল, ২ টন ডাল, ৩ টন আলু বিতরনের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। দেশের অবস্থা করোনার কারণে যখন নাজুক তখনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ভূলেননি তিনি। ১১ই মে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি তেল ও ১ কেজি তরল দুধ উপহার হিসেবে দেন আরিফুল হাই রাজীবের পক্ষ থেকে চুনারুঘাট উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
দেশের এমন কঠিন সময়ে যেখানে জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে এড়িয়ে চলছেন, সেখানে তিনি সহজাত স্বভাব ধরে রেখেছেন। ইতিমধ্যে নিজের সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি ঈদের আগে এলাকার মসজিদে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করবেন এই অঙ্গিকারবদ্ধ তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক রাজীব জনসেবার ব্রত নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন চুনারুঘাট – মাধবপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, সাথে পেয়েছেন ছোটভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মোঃ ইমরানুল হাই সজীব কে।
সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের সহায়তা করে ইতিমধ্যে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন দুই উপজেলার মানুষদের মণিকোঠায়। খুব সহজে আপন করার অসাধারণ এক নৈপুনতা তার মাঝে, তবে এটা কৃত্রিম না প্রকৃতির মতোই সাদাসিধে। ছোটবেলা থেকেই মানুষের প্রতি এত মায়া ও ভালোবাসার টানের কারণটা কি?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী কে বলেন, জীবনে কি হয়েছি বা কি করতে পেরেছি তা জানি না কিন্তু সফলতার আশা না করে যে কাজ করে যায় তাকে মনে হয় অসফল বলা যায় না। আর সমাজের জন্য কাজ করতে যে সমর্থনটা সব চেয়ে বেশী জরুরী তা হলো পরিবার। পরিবারের সমর্থন ছাড়া কিছু করা যায় না- মনের টান ও পারিবারিক শিক্ষার সমন্বয়েই আমি আরিফুল হাই রাজীব।