করোনার ঝুকি নিয়েও কাজ করছেন হবিগঞ্জের মাধবপুরে শাহজিবাজার রাবার বাগানের প্রায় সাড়ে তিনশত রাবার শ্রমিক প্রতি ত্রিশজনে একটি মাত্র সাবান দেয়া হয়েছে কিন্তু হাত ধোয়ার কোন ব্যাবস্থা নেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এই শ্রমিকরা নিরাপদ সময় পার না করেই কাজে যোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৬ মার্চ সরকারী ছুটি ঘোষনায় শ্রমিকরা যার যার বাড়ীতে চলে যায় সরকারী ছুটির সময়সীমা বাড়লেও রাবার শ্রমিকদের ছুটি আর বাড়েনি করোনা ভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন থাকার সরকারী নির্দেশ থাকা সত্তেও বাগান ব্যাবস্থাপকের নির্দেশে কোন রকম সতর্কতা ছাড়াই শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে পুনরায় কাজ করছেন রাবার শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি জাহের আলী শাহ ও রাবার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কে এম বাহার আলী শাহ সহ অন্যান্য শ্রমিকরা জানিয়েছেন রাবার বাগানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ মূলক কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি তারা জানান রাবার বাগানে টেপার পদের শ্রমিকরা প্রতি ৩০ জনে এক এক দলে
একজন সুপারভাইজারের নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন ৩০ জনের জন্য একবার একটি সাবান দেয়া হলেও পানির অভাবে কেউই হাত ধোতে পারেনি এক কলমে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে হচ্ছে ত্রিশ জন শ্রমিককে রাবার বাগানে যথাযত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করার অভিযোগ শ্রমিকদের রাবার শ্রমিকসহ এলাকাবাসীর মাঝে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহজিবাজার এলাকার এখলাছুর রহমান জানান রাবার বাগানের শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করে বাগানে কাজ করাটাই এলাকার জনসাধারণের আতঙ্কের বিষয় করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকলের সন্মেলিত ভুমিকা থাকা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবার বাগান ব্যাবস্থাপক কে এম মাহবুব আলম বলেন ৩০ জন শ্রমিকের জন্যে একবার ১টি সাবান দেয়া হয়েছে তা সঠিক তবে সরকারী নির্দেশনা মেনেই রাবার বাগানে কাজ করছি পরিসংখ্যান মতে সিলেট বিভাগের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা সর্বাধিক করোনা ভাইরাস ঝুঁকিপুর্ন এলাকা ।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় রাবার বাগান চা বাগান সহ রয়েছে অনেকগুলি মিল ফ্যাক্টরী করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় এ সকল মিল ফ্যাক্টরী ও বাগানের শ্রমিক এবং মালিকদের আরো অনেক সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে মাধবপুরের পরিনতি হতে পারে অনেক ভয়াবহ।