ইকবাল হোসেন তালুকদার,নবীগঞ্জ।।বর্তমানে বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে করোনাভাইরাস।প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রতিদিনই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, থেমে নেই মৃত্যুর মিছিলও। তবে কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তবে বিশ্বের ২০০ টির দেশে পৌঁছে যাওয়া এই ভাইরাসের প্রতিষেধক না থাকায় প্রতিরোধের উপর জোর দিতে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসাধারণের প্রতি আহবান রেখেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান। তিনি বলেন,একটি পরিবারে কর্মজীবী বা উপার্জনশীল ব্যক্তি একজন থেকে বড় জোর দুজন থাকতে পারেন। ঘর থেকে শুধু পরিবারের সেই কর্মজীবিদের বের হওয়ার আহবান জানান তিনি। আর বাকি সদস্যরা অকারণে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহবান জানান।তিনি বলেন- জীবন এবং জীবিকার প্রয়োজনে সকল কর্ম প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কবে কখন কিভাবে শেষ হয় তা যেহেতু অনিশ্চিত সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককে সার্ব ক্ষণিক সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের উদাসীনতা চলবে না।কর্মজীবীরাও ঘর থেকে বের হলে একজন থেকে অপর জনের সাথে তিন ফিট শারীরিক দূরত্ব অবশ্যই অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। এরই সাথে প্রত্যেককে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। আর ঘরে ফিরেও অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাপড় চোপড় ধুয়ে দিতে হবে অবশ্যই। এই পৃথিবীর এই বাস্তবতা শুধু টিকে থাকার জন্য, বেচে থাকার জন্য।শুধু সাধারণ জনগণকে সুস্থ আর নিরাপদ রাখার জন্য।পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি জেনেও দায়িত্ব পালন করছেন। আর এই দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়, হারিয়েছেন নিজের প্রাণ। বিষয়গুলো মাথায় রেখে প্রত্যেকের সতর্ক আর সচেতন হওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।আরও বলেন পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।