স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কাকুড়াকান্দি গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাখা নদীতে নিজস্ব অর্থায়নে ৮৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রস্থ একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে তিনি তাদের দীর্ঘ দিনের দুঃখ দুর্দশা দূর করে দিয়েছেন।
রবিবার (২৮ জুন) এই ব্রীজটির উদ্বোধন করে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম তাঁর পিতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন। এতে নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষাধিক টাকা। ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার করে যাচ্ছেন মোতাচ্ছিরুল ইসলাম।
জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং লোকড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত কাকুড়াকান্দি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রীজের জন্য দূর্ভোগে ছিলেন। ওই নদীটি পাড় হতে নৌকাই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। সারা বছরই এই রাস্তা দিয়ে তাদের চলতে হয়, বিধায় গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে প্রচুর দূর্ভোগ পোহাতে হতো। তাদের এই দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে একটি ব্রীজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মোতাচ্ছিরুল ইসলাম এর পিতা আলহাজ্ব রইছ মিয়া। এই ব্রীজটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তার পিতার প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন হলো।
ব্রীজ উদ্বোধনকালে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম বলেন, “আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। কথা দিয়েছিলাম সব সময় পাশে থাকব। তাই আপনাদের দুঃখ দূর করতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দিলাম। এটা আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস।”
তিনি আরো বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সফলতা নির্ভর করে ভাল কাজের উপর। তাই ভবিষ্যতে আমি কোথায় যাব, তা আল্লাহ ভাল জানেন।”
ওই গ্রামের একজন প্রবীণ মুরুব্বি বলেন, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা শাখা নদী পার হতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৫ শিশু। বিষয়টি জানার পর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলামের বাবা রইছ মিয়া। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন মোতাচ্ছিরুল ইসলাম।