স্টাফ রিপোর্টার।। ত্রাণের চাল আত্মসাৎ ও ভিজিডির চাল বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।পাশাপাশি কেন তাকে এই পদ থেকে চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করা হবে না জবাব চেয়ে শোকজ করা হয়েছে।পত্র পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ এর মাধ্যমে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। একই ধরণের অভিযোগে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্রে ইউপি চেয়ারম্যান মোখলিছ মিয়াকে বহিস্কারের আদেশ দেয়া হয় এবং আরেক পত্রে কেন চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে। পৃথক আদেশে নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসাকে কেন বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (৮ মে) নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানা।
এ সময় সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল জব্দ করেন তিনি। এসময় ৩০০ কেজি চালের কেন হিসাব পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ মে রাতে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক ১১নং ব্রহ্মণডুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেইন মোহাম্মদ আদিল জজ মিয়ার যৌথ স্বাক্ষরে চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়াকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে।