সনাতন ধর্মের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজাকে নিষ্কন্টক ও যথাযথ মর্যাদায় পালনের প্রস্তুতি সরকার গ্রহণ করেছে। এলক্ষ্যে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারী, বেসরকারী সংস্থাসমূহ ও পূজা উদযাপনের সংশ্লিষ্ট সকল মহলের পরামর্শ ও সহযোগিতা সমন্বয়ের আহ্বান করছে । কোন অবস্থাতেই পূজায় শান্তিশৃংখলার অবনতি করা যাবে না বলে জেলা প্রশাসক সকলকে অবগত করেন।
সোমবার (১২ অক্টোবর) বেলা ৩টায় হবিগঞ্জে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের পরামর্শ সভায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন বক্তার অভিমতে সকল প্রকার বখাটেপনা ও উশৃংখলতাকে প্রতিহত করে সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। বিশেষ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের পাশাপাশি পৌর সভার রাস্তার বেহাল দশা অবসানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার রাস্তা, ড্রেনের কাজে শম্ভুকগতি নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উন্নয়ন কাজে তদারকির অভাব ও জনদুর্ভোগের প্রতি উদাসীনতা অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
সভায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে নির্বাহী কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালী সংযুক্ত থেকে নিজস্ব মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
আইনশৃংখলা বিষয়ক জেলা কমিটির সদস্য সচিব এডিএম বিজেন ব্যানার্জীর উপস্থাপনার মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হলে উপস্থিত সুধীবৃন্দের মতামত ও পরামর্শ বিস্তারিত উপস্থাপিত হয়।
এ সময় শহরের বিভিন্ন ষ্পটে বখাটেদের উৎপাত ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটর সাইকেলের বেপরোয়া গতির চলাচল নিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক তার সমাপনী বক্তব্যে সকল অনিয়ম ও উশৃংখলতা প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় অন্যান্যর মাঝে উপস্থিত ছিলেন- এডিসি মর্জিনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী এড. আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ বিজিবি ও র্যাবের প্রতিনিধিবৃন্দ।