নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বশির মাস্টার আর নেই। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভোর ৫.২০ মিনিটে সিলেট ডেল্টা স্পেশালিজেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি…. রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে সেই সময় ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির মাস্টার মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় তার গ্রামের বাড়ি বাউসা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে জানাজার নামাজে সকল শ্রেণী পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার নামাজের পূর্বে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিনের নেতৃত্বে উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ বশির মাস্টারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
মরহুমের স্মৃতিচারণ ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য দেন, নবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুর উদ্দীন বীর প্রতীক, বাউসা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী মোঃ কাওছার আহমেদ ও মরহুমের প্রথম সন্তান মোস্তাক আহমেদ।
জানাজায় ইমামতি করেন, বাউসা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শাহনুর আহমেদ আজাদী।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মোঃ আজমান আলী, মোঃ আনিছ আলী, বাউসা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী হাজী আব্দুল মতিন, শাহ্ মছদ্দর আলী, বাউসা জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী হাজী মোঃ তৈয়ব উল্লাহ, সাবেক মোতাওয়াল্লী হাজী মোঃ আব্দুল মোতালিব, স্থানীয় মেম্বার আল-হেলাল আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহিবুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হাছান লিটন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সহ সভাপতি মোর্শেদ আলী সবুজ, সাধারণ সম্পাদক ডা. নিজামুল ইসলাম চৌধুরী, বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মনসুর চৌধুরী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
পরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ৩ পুত্র সন্তান ১ কন্যা সন্তান, নাতি নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।