মো: নাবেদ মিয়া,নবীগঞ্জ : নবীগঞ্জে দুই শিশুর কাঁধে সংসারের বোঝা! করোনাকে হার মানিয়ে যেন তারা অংশ নিয়েছে জীবন যুদ্ধে । পেটের ক্ষুধার কাছে হেরে গেছে করোনার ভয়। হাতে যখন খাতা এবং বই থাকার কথা ঠিক তখনই এই দুই শিশুর কাঁধে যেন জীবনের সকল বোঝা। তামান্না ও রুকসানা বয়স তাদের ৪/৫ বছর হবে। করোনাভাইরাসে যখন সারা বিশ্বের মানুষ স্থবির, সেই সময় তারা বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করতে ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরের নোংরা পরিত্যক্ত ও ময়লা আবর্জনায় জর্জরিত ডাস্টবিন গুলোতে। এতে করে চরম করোনা ঝুঁকিতে এই শিশুরা।
সোমবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা ৭ টায় নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডে কথা হয় দুই শিশুর সঙ্গে । তামান্না ও রুকসানা জানায় নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালিতলা গ্রামে তাদের বসবাস। তামান্না বেগম বয়স অনুমান (৫) বছর হবে। পিতা ফাডা মিয়া অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছেন অনেক আগে। মা’ রেনু বেগম কাজ করেন অন্যের বাড়িতে। পরিবারে ২ ভাই ও ২ বোন রয়েছে। তামান্না আরো বলে, একা কাজ করে রেনু বেগমের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব নয় বলে শহরে এসে ডাস্টবিন গুলোতে ময়লা আবর্জনায় পড়ে থাকা বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করি। দিন শেষে ১শ থেকে ২শ টাকা হয় মাঝে মধ্যে। বোতল বিক্রির টাকা মায়ের কাছে দিচ্ছে প্রতিদিন। রুকসানা বয়স অনুমান (৩) বছর হবে। ঠিকমত কথা ও বলতে পারে না। পিতা আব্দুল আলী পেশায় একজন শ্রমিক। মা নাজমা বেগম। ৩ ভাই ও ২ বোন মিলে ৭ জন সদস্যর পরিবার তাদের। নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়রে হালিতলা গ্রামে তাদের বসবাস। কুড়িয়ে আনা বস্তা ভর্তি প্রায় ১০ কেজি ওজনের বোতল কাঁধে নিয়ে হাটছে। এই বয়সে শিশুটির কাঁধে বিশাল ভারি ওজনের বস্তা দেখে জানতে চাইলে প্রতিবেদকরে সঙ্গে ঠিকমত কথা ও বলতে পারেনি মেয়েটি। যদিও দেশে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ রয়েছে তারপরও এসব শিশুরা কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে পড়ছে শিশু শ্রমের সাথে। হয়তো এরা জানেই না শিশু শ্রম কি?