নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।।নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় নবীগঞ্জ উপজেলার বিজনা নদীর জলমহাল নিয়ে বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর গ্রামের দুপক্ষের চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি করার ৩দিন পরই আবারো উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের সহিংসতা মত ঘটনা। গ্রামের লোকজন এক অজানা আতংকের মাঝে জীবন যাপন করতেছেন। গ্রামের সফিক মিয়ার পক্ষের লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ কাচন মিয়াগংদের লোকজন কথা বা মিলামিশা করলেই ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হবে বলে জানাগেছে। থানা আপোষ পক্রিয়ার রায় মেনে গিয়ে কাচন মিয়া,জলিল মিয়া,মাসুক মিয়া ,বশির মিয়া, মনর মেম্বার, রাজা মেম্বার মন্নাফ গংরা পরে গ্রামে গিয়ে তাদের লোকজনকে নিয়ে গ্রামে মিটিং করে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে বিরোধের রায় প্রত্যাখ্যান করেন এবং অপর পক্ষের সফিক মিয়ার লোকজনের সাথে কথা বললেই নগদ টাকাসহ বিভিন্ন জরিমানার ঘোষনা দেন। শালিসের রায়ের পর থেকেই গ্রামে গিয়ে সফিক মিয়ার লোকজনের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার শুরু করে কাচন মিয়ার পক্ষের লোকজন। অত্যাচার এবং উত্তেজনার খবর সফিক মিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমানকে অবহিত করলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে আবারো খবর দিলে কাচন মিয়ার পক্ষের লোকজন সালিশ বিচারকদের ডাকে আসেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বিষয়টি সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীকে অবহিত করেছেন।
জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে বিজনা নদীর জলমহাল পুরো বাঁশডর গ্রামবাসী সম্মিলিত ভাবে ভোগদখল করে আসছিল। কয়েকমাস পূর্বে বাঁশডর গ্রামের সফিক মিয়া স্থানীয় ২শত ৫০জন মৎসজীবি নিয়ে বিজনা নদীর জলমহাল পাওয়ার জন্য আবেদন করে। প্রক্ষান্তরে বাঁশডর গ্রামবাসীর পক্ষে রাজা মেম্বার,কাচন মিয়াসহ ২৩৪জন মৎসজীবি বিজনা নদীর জলমহাল পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত করে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার প্রস্ততি নেয়। এ খবর পেয়ে বড় ধরণের সংঘাত এড়াতে উভয় পক্ষের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সুষ্ঠভাবে নিষ্পত্তি করে দেয়ার আশ্বাস দেয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নবীগঞ্জ থানা প্রাঙ্গনে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় পক্ষের সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বের ন্যায় পুরো বাঁশডর গ্রামবাসী উক্ত বিজনা নদীর জলমহাল ভোগদখল করবেন এবং উভয় পক্ষের দেয়া পৃথক আবেদন প্রত্যাহার করে পুরো বাঁশডর গ্রামবাসী সকলে মিলেমিশে একটি আবেদন পুনরায় দিবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এতে উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট হয়। উক্ত শালিস বৈঠকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশসুপার পারভেজ আলম চৌধুরী,নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান, ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ, ওসি (অপারেশন) মো. আমিনুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শালিস বৈঠকের রায় হওয়ার পর থেকেই গ্রামে গিয়ে রাজা মিয়া, কাচন মিয়াগংরা রায় অমান্য করে গিয়ে গ্রামে মিটিং করে ফের বিজনা নদীতে গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ মিলে মাছ ধরে বিক্রি করতেছে। এখবর গ্রামের অপর পক্ষের সফিক মিয়ার লোকজন জানতে পেরে বিষয়টি পুলিশ ও শালিষ বিচারকদের জানালে শালিস বিচারকগং উভয় পক্ষের লোকজনকে আবারো ডাকেন। শালিস বিচারকদের ডাকে আসেননি রাজা মিয়া ও কাচন মিয়ার পক্ষের লোকজন। সালিশ বিচারকদের ডাকে না আশা লোকজন শালিশের রায় অমান্য করে মাছ ধরে বিক্রি করায় ফের উত্তেজনায় দেখা দিয়েছে বাশড়র গ্রামে। যে কোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষ । সরকারী খাল থেকে বিনা অনুমতিতে মাছ ধরে বিক্রিকারীদের বিরোদ্ধে প্রশাসনের লোকজন আইননুক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি গ্রামবাসীর।