হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ১০টাকা কেজি দরের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও সুবিধাভোগীদের চাল আত্মসাতের দায়ে (বরখাস্তকৃত) চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের কর্মকান্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। দলীয় সূত্র বলছে- নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকেও অব্যাহতি দিয়ে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বহিষ্কার করার জন্য হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক সুপারিশ যাচ্ছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে।
অপর দিকে এক বিশ্বস্থ সূত্র জানিয়েছে- দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। প্রভাবশালী এই নেতার এহেন অনিয়মের কান্ড নিয়ে আলোচনায় সরব নবীগঞ্জ উপজেলা।
জানা যায়, চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক ৭ জুলাই গজনাইপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৫ জুলাই বুধবার নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বসম্মতিক্রমে দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার পরও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল রবিবার (১৯ জুলাই) দলীয় সভার আহবান করেছেন। যদিও আওয়ামী লীগের প্রথমসারির নেতাকর্মীরা মুকুলের সভা আহবানকে ব্যক্তিগত সভা বলে অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিবাজদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন যে দুর্নীতি করবে তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবু জাহির এমপি বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতি ও পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হচ্ছে।