ঘড়ির কাটা বিকাল চারটা। পিকআপ ভ্যান গাড়িতে আছে মিটার,বিদ্যুতের তারসহ অন্য সরঞ্জাম। সঙ্গে আছেন দুইজন লাইনম্যান ও একজন ওয়ারিং পরিদর্শক। সামনের গাড়িতে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সমিতির নোয়াপাড়া জোনাল কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন।
এভাবে মঙ্গলবার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামে প্রবেশ করে একজন গ্রাহকের আবেদনের পাঁচ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রিতিমত অবাক করে দিয়েছেন গ্রামবাসীকে।
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’।আর এর উদ্যোক্তা নোয়াপাড়া জোনাল কার্যালয়ের উপ মহা ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন নিজেই।
তিনি গত দেড় বছরে মাধবপুর উপজেলায় ‘আলোর ফেরিওয়াল’ কার্যক্রমের মাধ্যমে ৫হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। এ কার্যক্রমে ব্যপক সারা পেয়েছেন তিনি। এতে গ্রাহক কোন রখম হয়রানী ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারছে। এতে ওই গ্রাহকের অফিস খরচ হয়েছে মাত্র ৫৬৫টাকা।
পরে দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রঙ্গনে এক উঠন বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে গ্রাহকরা তাদের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসময় ডিজিএম মোশারফ হোসেন তাদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জোনাল ম্যানাজার সৈয়দ আজহারুল ইসলাম,দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জামাল মোঃ আবু নাছের,পল্লী বিদ্যুতের ইসি মোঃ আক্তারুজ্জামান প্রমূখ।
আলোর ফেরিওয়ালা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন দাসপাড়া গ্রামের কৃষক নগেন্দ্র সরকার। তিনি বলেন বাড়িতে নতুন ঘর নির্মান করেছি। মিটার সংযোগের জন্য আবেদন করব করব বলে অনেক দিন হয়ে গেল। কিন্তু আজ বিদ্যুতের লোক এ ভাবে বিদ্যুৎ দিচ্ছে শুনে আবেদন করি। আবেদন করার পাঁচ মিনিটেই সংযোগ পেয়ে আমার পরিবার আনন্দিত।
হবিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নোয়াপাড়া জোনাল কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন গত দেড় বছরে আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে উপজেলায় প্রায় ৫হাজার গ্রাহককে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে কাজ করে যাচেছ। এ জন্য গ্রাহক যাতে হয়রানীর শিকার না হয় তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।