জিয়া উদ্দিন দুলাল ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার এলাকার এক কিশোরীকে (১৬) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর কিশোরীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার উত্তরখান থানার জামতলা মাদারবাড়ী এলাকা থেকে হবিগঞ্জের পিবিআই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর ওই কিশোরী জানান, অপহরণ বা ধর্ষণ নয়, সৎ মা ও পিতার অত্যাচার থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় তিনি বাড়ি ছাড়েন।
পিবিআই সূত্র দৈনিক হবিগঞ্জের বাণীকে জানান, শিবগঞ্জ বাজার এলাকার সিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী-০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি একই গ্রামের হুমায়ুন কবীর, রফিক আলী ও জুনু মিয়াকে আসামি করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আসামিরা তার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে গত ১৮ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৩টায় অপহরণ করে। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার মেয়েকে আসামিরা ধর্ষণ করছে।
এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্তে নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে বাদী সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে কৌশলে বিভিন্ন তথ্য নেয় পিবিআই। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ৩টায় ঢাকার উত্তরখান থানার জামতলা মাদারবাড়ী এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী জানান, কেউ তাকে অপহরণ বা ধর্ষণ করেনি। তিনি সৎ মা ও পিতার অত্যাচার থেকে বাঁচতে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাড়ি ছাড়েন। তিনি চাকরির খোঁজে একই গ্রামের হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে ঢাকার উত্তরখান জামতলা মাদারবাড়ী এলাকায় যান। সেখানে তাদের গ্রামের শাহিন মিয়ার বাসায় আশ্রয় ও ওই এলাকার “প্রমিজ ফুট ওয়্যার” নামে একটি জুতা তৈরীর কারখানায় চাকরি নেন। তার পিতা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসে এই মিথ্যা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
পিবিআই উদ্ধার ওই কিশোরীকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে তিনি আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।