হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আপন ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার ঘটনায় ঘাতক আলী নেওয়াজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৩ জুলাই নিহত আবু বক্করের পিতা ইউনুছ আলী বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-(১৫.২৩/৭/২০২০)। এরই ধারাবাহিকতায় বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ সার্কেল শেখ মোঃ সেলিম’ র দিক নির্দেশনায় বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেনের দায়িত্বপরায়নতায় মামলার তদন্তকারী এসআই আব্দুর রহমান এর নেতৃত্বে ঘাতক আলী নেওয়াজকে মৌলভীবাজার শহরের ডেন্টাল রোড থেকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য, ২২ জুলাই বুধবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় উপজেলা সদরের বড় বাজার স্মৃতি সৌদের দক্ষিণ দিকে পরিত্যক্ত নন্দী ভবনের পাশে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে। আলী নেওয়াজ ৩ মাস পাবনায় মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। নিহত ব্যক্তি উপজেলা সদরের ১ নং ইউনিয়নের চতুরঙ্গরায়ের পাড়ার ইউনুস আলীর পুত্র আবু বক্কর (৩৫)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- পাগল আলীনেওয়াজ কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না পাগল ভাই আলী নেওয়াজকে খুঁজতে বের হয় আবু বক্কর। অনেক খোঁজা খুঁজির পরে অবশেষে নন্দী ভবনের পাশে পাগল ভাইকে খুঁজে পায় এবং বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্যঅনেক চেষ্টা করে। কিন্তু পাগল ভাই কিছুতেই বাড়ি ফিরে যেতে রাজি হয়নি, তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে রাগান্বীত হয়ে আপন ভাইকে ছুরি চালিয়ে দেন আলী নেওয়াজ।
খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশকে তাৎক্ষনিক আহত আবু বক্করকে উদ্ধার করে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরের দিনই আবু বক্করের পিতা বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় আলী নেওয়াজকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রেফতার এর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘পাগলকে গ্রেফতার করে বানিয়াচং থানায় নিয়ে আসলে সে লক-আপে যেতে অনেক জবরদস্তি করে। অনেক কষ্টে তাকে লক-আপ করা সম্ভব হয়েছে।’