হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তপক্ষ মনগড়াভাবে বিদ্যুতের বিল তৈরী করে গ্রাহকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্থানীয় জোনাল অফিসে ধর্ণা দিয়ে প্রমাণ দেখিয়ে প্রতিকার না পাওয়ায় তাদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গ্রাহকরা জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের পর গত কয়েকমাস ধরে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন তারা। বিল ও মিটার যাছাই করে দেখতে পান বিলের কাগজে লেখা ইউনিটের সাথে ব্যবহৃত ইউনিটের কোন মিল নেই। গ্রাকরা এসব অভিযোগ নিয়ে অফিসে গেলে পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে বলে আশ্বাস দিলে ও আগের মতই বিল পরিশোধ করতে হয়। রবিবার (০৫ জুলাই) সকালে সরজমিনে ৫/৬ নং বাজারে হুমায়ূন আহমেদের দোকানে বিদ্যুৎ অফিসের জনৈক মিটার রিডার মিটারের সাথে অসামঞ্জস্য পূর্ন ইউনিট বিল বহিতে লেখার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।
এসময় দোকানের মালিক মিটার রিডারের নাম জানতে চাইলে নাম না বলে সে পালিয়ে যায়। তিনি হুমায়ুন আহমেদ জানান গতমাসে আমার ব্যবহৃত মিটার ইউনিট ছিল ১০০৮০, বর্তমানে আছে ১০১৩৯ সে অনুযায়ী আসে ৫৯ ইউনিট। কিন্তু বিল বহিতে লেখা ৭০ ইউনিট। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডি.জি এমের ( ০১৭৬৯৪০০১৫৮) নাম্বারে কল দিয়ে উনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে কোন বক্তব্য দিতে পারবেন না বলে জানান। পরবর্তীতে উনার বক্তব্য জানার জন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গেলে একজন স্টাফের করোনা শনাক্ত হওয়ায় সরাসরি বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।