করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে থেমে নেই মানুষের ঈদযাত্রা আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে, হবিগঞ্জের মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। ঢাকাসহ আশপাশের জেলা গুলো থেকে ইতিমধ্যে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বুধবার (২০ মে) সকালে মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাওয়ার।
প্রতিযোগিতা বাড়তি ভাড়া দিয়ে লেগুনা, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে তারা ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে সরেজমিনে দেখা গেছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় রীতিমত বসেছে লেগুনা, সিএনজি আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সকাল ভোর থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লেগুনা অথবা সিএনজিতেও হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ পর্যন্ত যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। তবে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ সময় ঢাকা থেকে আসা এক যাত্রী জানান,বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তারা। ঈদকে সামনে রেখে অফিস ছুটি থাকায় বাড়ি ফিরছেন তারা। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এভাবে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছেন। এতে তাদের বাড়তি টাকা খরচ আর সময় নষ্ট হচ্ছে। তবে পরিবার নিয়ে ঈদ করার জন্যই তাদের এই যাত্রা। মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড লেগুনা চালক ফজর আলী জানান, মাধবপুর থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। বাড়তি ভাড়া নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কে পুলিশ আর মোবাইল কোর্টের ভয় নিয়ে মহাসড়কে চলতে হচ্ছে। এ কারণে একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।
অটোরিকশা চালক আক্তার মিয়া কবিরসহ কয়েকজন জানান, মাধবপুর বিভিন্ন স্থানে ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা হলেও এখন তারা নিচ্ছেন ৫০ টাকা।
মাধবপুর ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর (টিআই) ফারুক আল মামুন ভুইয়া বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঈদকে সামনে রেখে মাধবপুর মহাসড়কে যাত্রী বেড়েছে এ সুযোগে প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস আর কেউ কেউ অসুস্থতার দোহাই দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে বাড়ি ফিরছেন।