হবিগঞ্জের বাণী ডেস্ক : মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সাথে আন্দিউড়া ইউনিয়নের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মাটি ও বালু বাহী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আন্দিউড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নোয়াহাটি, তেলিয়াপাড়া সহ বিভিন্ন হাটবাজারে আসে ব্যাবসায়ীক কাজে বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় করার জন্য। আবার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের বহু মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আন্দিউড়া চকবাজারে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যায় এই রাস্তা দিয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি উপজেলা প্রশাসনের নিকট থেকে পুকুর খননের অনুমতি নিয়ে আন্দিউড়া ও শাহজাহানপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বিলের ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু বিক্রি করেছে। অনেকে আবার কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে অনুমতি নিয়েছে প্রচারণা চালিয়ে মাটি ও বালু বিক্রি করছে। আর এসব বালু ও মাটি পরিবহনের জন্য দুই ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ব্যবহার করেছে তারা। প্রতিদিন অসংখ্য অনুমোদনহীন ট্রাক্টর দিয়ে এই রাস্তা ব্যবহার করে মাটি ও বালু বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।এতে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে গেছে।ফলে ট্রাক্টর ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি বৃষ্টি হলে মানুষের হাঁটাচলা করতেও কষ্ট হয়। দীর্ঘদিন যাবত এমন পরিস্থিতি চলে আসলে দেখার যেনো কেউ নেই। মাটি ও বালু বিক্রয় ও পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে এসব করায় সাধারণ মানুষ ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায় না। এব্যাপারে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিক আলম চৌধুরী বলেন, সিমনাছড়া ব্রিজের সংযোগ সড়ক ঠিক হলে মাটি ও বালু এনে রাস্তাটি মেরামতের কাজ শুরু করবো। আন্দিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ খান হেলাল এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, ট্রাক্টরগুলো সাধারণত হাল চাষের কাজে ব্যবহার করার কথা। আমাদের অগোচরে অনেকে হয়তো মাটি ও বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে। সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকায় আমরা এতোদিন বিষয়টি লক্ষ করিনি। এখন যেহেতু অভিযোগ আসছে আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।