হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট বিদ্রোহী প্রার্থী কারনে নৌকার ব্যপক পরাজয় হয়েছে। এমনকি বিজয়ী প্রার্র্থীর আট গুন কম ভোট পেয়ে হারিয়েছেন জামানতের টাকাও।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় মাধবপুর পৌরসভার মেয়র পদে বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান মানিক ৫হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী শ্রীধাম দাশ গুপ্ত পেয়েছেন মাত্র ৬শত ৮ ভোট। এত বিশাল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের পরাজয় ও দীর্ঘ দিনের দখলে থাকা মেয়র পদটি হাতছাড়া করেছে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ। এ ফল বিপর্যয়ের কারন চুলছেড়া বিশ্লেষন করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। তারা মনে করছেনপ্রচার-প্রচারনার দুর্বলতা,দলীয় নেতা কর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর ব্যপক পরাজয় হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী।
অপর দিকে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার কারন চিহ্নত করেছেন বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের অনিহা,গনতন্ত্রের পূনরোদ্ধার ও বিগত তিনটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় এবার জনগন সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে বিএনপিকে ভোট দিয়েছেন। দুই যুগ পরে প্রথম বারের মতো বিএনপি মাধবপুর পৌরসভার মেয়র পদটি দখলে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শ্রীধাম দাশ গুপ্ত বলেন দলীয় লোকজন আন্তুরিক ভাবে কাজ না করা,অনেক নেতা কর্মী দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ট মন্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সুকুমল রায় বলেন প্রার্থী সিন্ধান্তে ভ‚ল ছিল। এবং দল যাকে মনোনয় দিয়েছেন তার নূন্যতম মেয়র হওয়ার যোগ্যতা নেই। তাই এ পরাজয়।
আওয়ামী লীগের মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও আন্দিউড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শাহ মোঃ মুসলিম ও বর্তমান মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহার ভাই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা তিন ভাবে বিভক্ত ছিল। এবং প্রার্থী সিন্ধান্তে ভুল ছিল। যার কারনে এ পরাজয়।
উপজেলা নির্বাচন কমিশন ও সহকারী রিটারনিং কর্মকর্তা মোঃ মনিরউজ্জামানের ঘোষিত ফলাফলে জানাযায় বিজয়ী বিএনপি মনোনিত মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক পেয়েছেন ৫হাজার ৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী বর্তমান মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহার ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পংকজ কুমার সাহা পেয়েছেন ৪হাজার ১৮৫ ভোট। অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মোঃ মুসলিম পেয়েছেন ৩হাজার ১৮৫ ভোট। এবং মাধবপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শ্রীধাম দাশ গুপ্ত পেয়েছেন ৬শত ৮ভোট।
মাধবপুর পৌরসভার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আলাউদ্দিন আল রনি বলেন সকল সড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জনগন ধানের শীষে ভোট দিয়ে প্রমান করেছে পৌরবাসী প্যাসিস সরকারের সাথে নয়। তারা গণতন্ত্রের পূনরুদ্ধার চায়। এ জন্য বিএনপির নেতাকর্মী ও পৌরবাসীর কাছে মেয়র হাবিবুর রহমান কৃতজ্ঞ।