মাধবপুর ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্ত্রীর মোবাইলে সুইসাইড নোট ( মেসেজ) পাঠিয়ে সাইফুর রহমান মোর্শেদ (৩০) নামে এক যুবকের ফাঁসীতে ঝুলে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,গত শনিবার ( ৬ জুন) ইটাখোলা গ্রামের হেবজু মাষ্টারের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রীর মোবাইলে একটি সুইসাইড নোট ( মেসেজ) পাঠিয়ে ফাঁসীতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরদিন তার স্ত্রী বাবার বাড়ী মাধবপুর উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের খরকী গ্রাম থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে ঘরের ভেতরে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এসময় সে ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যায়। আজ সিলেটের একটি হাসপাতালে সাইফুল ইসলাম এর বোনের অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। এই কারনে সাইফুল ইসলামকে খোঁজতে এসে তার বন্ধ ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এসে মাধবপুর থানায় খবর দেয়।
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতাল প্রেরন করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার হাসিকে আটক করেছে। এব্যাপারে হাসিনা আক্তার হাসি জানান ,তার স্বামী মাদকাসক্ত ছিল।প্রায়ই সে মোবাইলে সুইসাইডের এসএমএস পাঠাতো। গতকাল মেসেজ পাঠানোর পরে তাকে ফোন করে কোন সারা না পেয়ে গতকাল দেখতে এসে ছিলাম। স্বামীর মৃতদেহ দেখে কাউকে কিছু না জানিয়ে কেন চলে গেলেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম, আমার মাথা তখন ঠিক ছিল না। সাইফুল এর ভাই সফিকুর রহমান সামীম বলে,আমার ভাইয়ে সাথে তার স্ত্রীর বনিবনা ছিল না। তার স্ত্রী পরিবার পরিকল্পনায় চাকরির সুবাদে বাবার বাড়ি খরকি থাকতো।এছাড়া কারোর সাথে আমার ভাইয়ের কোন ঝগড়াঝাটি বা ঝামেলা ছিল না।তার স্ত্রীর কারণে আজ দুইদিন পর আমার ভাইয়ের মৃতদেহ দেখতে হল। মাধবপুর থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান, অনেক আগে তার মৃত্যু হওয়ায় মৃতদেহ ফুলে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোস্কা পড়ে গেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে। তবে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।