ক্ষেত থেকে ধানের গাছ নয়, একটি যন্ত্রের মাধ্যমে সরাসরি ধান সংগ্রহ করেছে কৃষকরা। সঙ্গে আলাদা করে মাঠে ফেলে দেওয়া হচ্ছে ধানের খড়। গত শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। এক সঙ্গে ধানকাটা,মাড়াই, ঝাড়া ও বস্তাবন্দী করা এ যন্ত্রটির নাম কম্বাইন হার্ভেষ্টার। এ যন্ত্রটি পেয়ে সময় ও খরছ অনেকটা কমে গেছে কৃষকের।
এ যন্ত্রটি দিয়ে প্রতিদিন কৃষক ১৭-১৮ বিঘা জমির ধান সংগ্রহ করতে পারেন। এতে খরচও অনেক কম। তাই যন্ত্রটির প্রতি কৃষকের আগ্রহ ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
রতনপুর গ্রামের কৃষক তাউছ মিয়া বলেন আমার ১৯শতাংশ জমির ধান সংগ্রহ করে দিয়েছে এ যন্ত্রটি। এতে আমার খরচ হয়েছে ১১৪০টাকা। অতছ গতকাল পর্যন্ত ওই জমির ধান কাটতে শ্রমিকের পিছে পিছে ঘুরেছি। তাদেরকে ১৯০০টাকা পর্যন্ত বলেছি,ধান গুলো শুধু কেটে দিতে। তার পরে আমাকে কাটা ধানগাছ গুলো বাড়িতে নিতে খরচ হত দুই শত টাকা,মাড়াইয়ে কাজে আরো দুই শত টাকা। আজ এ যন্ত্রটা আসার খবর পেয়ে আমি দৌড়ে এসে আমার জমিতে ধান সংগ্রহে লাগিয়ে দেই।
রতনপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন বর্তমানে করোনার পরিস্থিতিতে শ্রমিকের মূল্য অনেক বেশি। এ পরিস্থিতিতে কম্বাইন হার্ভেষ্টার কৃষকের মাঝে ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এতে কৃষকের খরচ ও সময় অনেক কম লাগে।
কম্বাইন হার্ভেষ্টার চালক আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন আমি কিশোরগঞ্জ থেকে এখানে ধান কাটতে এসেছি। এ যন্ত্রের সাহায্যে কৃষক অল্প সময়ে ক্ষেত থেকে ধান সংগ্রহ করতে পারছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায় উপজেলায় বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১হাজার ৫৭০ হেক্টর। কিন্তু এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে বোরো ধান। আর ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ছিল প্রায় ৫৩হাজার মেট্রিকট্রন। কিন্তু বেশি চাষাবাদ ও ভাল ফলন হওয়ায় এ মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্তকর্তা মোঃ আব্দুল্লা আল মামুন বলেন মাধবপুর উপজেলায় ৫টি কম্বাইন হার্ভেষ্টার মেশিন রয়েছে। এ গুলো দিয়ে কৃষক তার ধান সংগ্রহ করছেন। পর্যায়েক্রমে কম্বাইন হার্ভেষ্টার আরো বৃদ্ধি করা হবে