শুরু হলো মধু মাস জ্যৈষ্ঠ। খাঁ খাঁ রোদ ও ভ্যাপসা গরম হঠাৎ দুই এক ফোঁটা বৃষ্টি, তারপর আবার সেই ভ্যাপসা গরম এর মাঝেই দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সিয়াম সাধনা।
এমন দুর্বিষহ পরিবেশেও মধু মাসের ছোঁয়ায় মধুময় হয়ে উঠেছে এবারের মাহে রমজান। বাজারে আসা মৌসুমী ফল দিয়ে তৃপ্তির সঙ্গেই ইফতার করছে রোজাদাররা। সেহরিতেও বাদ যাচ্ছেনা এসব ফল। দুধ-আম মিশিয়ে খেতে ভুল করছেনা কেউ কেউ।
শুক্রবার (১৫-মে) মাধবপুর উপজেলার পৌর শহরের বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় ফলের মৌ মৌ গন্ধে বাজার গুলো ভরপুর। সেখানে উঠেছে নানা রকমের বিভিন্ন জাতের মৌসুমী ফল। দামও হাতের নাগালে থাকায় ক্রেতারা তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ইফতারির আয়োজনে। মাধবপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, জামরুল, তালের শাঁস ও উন্নত জাতের পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে।
ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাধবপুরে আসা হরেক রকম জাতের আম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ টাকায়। আনারস প্রতি হালি ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ১১০ টাকায়। জাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় আর কাঁঠাল মাঝারি ধরনের ১৫০ টাকা। ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, ডেউয়া প্রতি হালি ৫০ টাকা ও তালের শাঁস প্রতি পিস ১০ টাকা। এছাড়াও দেশীয় জাতের কলা পাওয়া যাচ্ছে প্রতি ডজন ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকায়। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মাধবপুর বাজারে ফলের দোকানে ফুটপাতে অলিতে-গলিতে শুধুমাত্র আম-জাম-কাঁঠাল-আনারসের বিক্রেতারদের ডাক শোনা যায়। জ্যৈষ্ঠের মধু মাস প্রকৃতির এক অকৃপণ দান। মধু মাসের সব ফল খেয়েই তৃপ্তি পাওয়া যায়।
মধু মাসের নানান ফল নিয়ে ফেরিওয়ালারাও ব্যস্ত। তারা মাথায় করে, ঠেলা গাড়িতে, ভ্যান গাড়িতে নিয়ে বিক্রি করছে। তাদের অনেকে সারা বছরে শুধু এ মধু মাসেই রসালো ফল বিক্রি করে আনন্দ পায়। তারা ফলগুলো রাজশাহী-কুষ্টিয়া-রংপুর অঞ্চল থেকে নিয়ে আসে।
মাধবপুর বাজারে ফল কিনতে আসা, মাধবপুর প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবিবর হাসান দৈনিক হবিগঞ্জের বাণীকে জানান, দুধ, কলা, চিড়া আর আমের রসে মজাদার এক খাবার দিয়ে পরিবারের ইফতারি শুরু করেন তিনি। এরপর চলে একটার পর একটা ফল খাওয়া। এবারের গরমে রোজা হওয়ার কারনে মৌসুমী ফল বাজারে আছে। তাই তৃপ্তির সঙ্গেই ইফতার করা যায় ফল দিয়ে।
ফল কিনতে আসা ডিএসবির এসআই সাইকুল ইসলাম সুজন, জানান, বাজারে মৌসুমী ফল পাওয়া গেলেও দাম তুলনামূলক বেশি। মধু মাসে ফলের দাম কম থাকার কথা ছিল কিন্তু তা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।