শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়ার মালিকানাধীন একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া বিক্রয় কর্মকর্তা সুমন মোহন্ত করোনা উপসর্গে নিয়ে মারা যাওয়ায় বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (১ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার সরেজমিনে গিয়ে নিহতের সঙ্গে একই বাসায় বসবাসকারী ৫ যুবককে দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন এবং বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেন। এসময় শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, নিহত সুমন মোহন্ত আরএফএল কোম্পানীর বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট ও বাহুবলে কর্মরত ছিলেন। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর সভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়ার মালিকানাধীন পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। এলাকাবাসী জানান সুমন মোহন্ত গত কয়েকদিন যাবত করোনা উপসর্গে ভোগছিলেন। বিষয়টি গোপন রেখে বাসায় অবস্থান করছিলেন তিনি।তার অসুস্থতার খবর পেয়ে রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সুমন চন্দ্র মোহন্তের স্ত্রী তার গ্রামে বাড়ি গাইবান্ধা থেকে এসে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা পাঁচ যুবক বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকুরি করেন এবং মেয়র সাহেবের মালিকানাধীন একটি বাসায় ভাড়াটিয়া।তারা সবাই হবিগঞ্জ জেলার বাইরের বাসিন্দা। যেহেতু তারা নিহত সুমন মোহন্তের সাথেই থাকতেন তাই তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।