হবিগঞ্জ জেলার পল্লীবিদ্যুৎ লাইন টেকনিশিয়ান শরিফুলের বিরুদ্ধেচাকুরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আন্মসাৎ এর ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লাইন টেকনিশিয়ান শরিফুল নোয়াপাড়া পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতায় ধর্মঘর অভিযোগ কেন্দ্রে চাকুরি করার সুবাদে কালিকাপুর গ্রামের সাইফ উদ্দীনের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়কে পুজি করে সাইফ উদ্দীনের কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা চাকুরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেয়। কিছুদিন পর চাকুরি না হওয়াতে শায়েস্তাগঞ্জ অগ্রণীব্যাংক শাখার- ১৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দুটি চেক সাইফুলের নামে দেন। আর বাকি টাকা নগদ দিয়ে দিবে বলে সময় নেন।
৪-৫ বছর পার হলেও শরিফুল টাকা দেয়নি এই বিষয়ে সাইফ উদ্দীন বাদী হয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৫২/২১ বর্তমানে মামলাটি সাব-জজ-১ বিচারাধীন রয়েছে। অপরদিকে ধর্মঘর ইউনিয়নের ইলেক্টিশিয়ান সালাউদ্দিন জানান, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ অফিস সহায়ক পদে চাকুরি দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। চাকুরি না দেওয়াতে বিভিন্ন সময়ে ২ লক্ষ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৩ লক্ষ টাকা কিছু সময় নিয়ে একটি চেক প্রদান করেন। যার হিসাব নং-২৯১১০৩০০৪৭০৬৭ এবং চেক নম্বর-১৩০০৬০৮ ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
অভিযোগে আরও জানা যায় বর্তমানে শরিফুল বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম সাব-স্টেশনে কর্মরত রয়েছে । বিভিন্ন সময়ে তার কাছে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হুমকি প্রদান করে। সালাউদ্দিন গত ৩১/০৩/২০২২ ইং তারিখে শরিফুলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শরিফুলের গ্রামের বাড়ি নাটোরে কিন্তু তার জাতীয় পরিচয়পর্ত্রে ঠিকানা রয়েছে মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বড় ধলিয়া গ্রামে।
শরিফুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা আমার কাছে পায় সত্য এবং কিছু দিয়েছি। এখন বাকি টাকা একসাথে দিতে পারব না এবং সাইফ উদ্দীন আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।